সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
ঢাকা সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১
The Daily Post

মিষ্টি পানের দাম বাড়লেও হাসি নেই মহেশখালীর চাষিদের  

মহেশখালী (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

মিষ্টি পানের দাম বাড়লেও হাসি নেই মহেশখালীর চাষিদের  

শীত মৌসুমে দেশব্যাপী চাহিদা বেড়েছে মহেশখালীর ঐতিহ্যেবাহী মিষ্টি পানের, দেশের পাশাপাশি ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে বিদেশেও। অন্য বছরের তুলনায় দামও বেড়েছে অনেক, তবে দাম পেয়েও খুশি নন পান চাষিরা। 

কারণ গতবছরের ২৪ অক্টোবর ঘটে যাওয়া হামুনের আঘাতে তছনছ হয়েছিল অনেক পানের বরজ, হঠাৎ সচল পান চাষি হতে সম্পূর্ণ বেকারত্বের জীবনে নেমেছে মহেশখালীর বহু পান চাষি পরিবার। যারা টিকিয়ে আছে তারাও এখনও কোমর সোজা করে দাড়াতে পারছেনা। সরকারি সহায়তার বার বার আশ্বাস শুনে আসলেও কোন প্রকার সহায়তার পাচ্ছেন না কৃষকরা। 

বড় মহেশখালী মুন্সির ডেইল ও দেবঙ্গপাড়ার বহু পান চাষি পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হামুনের আঘাতে তাদের একমাত্র সম্বল পানের বরজ হারিয়ে তারা এখন অসহায়ত্বের জীবন যাপন করছে। তারা বলছেন, সরকারি সহায়তা পেলে তারা আবারও ঘুরে দাড়াতে পারবে। মহেশখালী ঘুরে দেখা যায় আগের তুলনায় অনেক কমেছে মিষ্টি পানের বরজ। ফলে চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কমেছে বলেছে জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা। 

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) মহেশখালীর সবচেয়ে মিষ্টি পানের বড়বাজার বড় মহেশখালী নতুন বাজার মাঠে সরেজমিনে গেলে দেখতে পায় জাক জমকপূর্ণ পানের বাজার। ক্রেতা বিক্রেতারা ধুমধামে বেচা বিক্রি করে যাচ্ছে। বড়মহেশখালী মুন্সির ডেইলের পান চাষি মুহাম্মদ শামসুল আলম জানান তিনি ঘূর্ণিঝড়ের আগে  (একটাইন) তথা এক বাজারে লক্ষাধিক টাকার পান বিক্রি করতেন, এখন পানের বহু দাম থাকলেও ত্রিশ হাজার টাকার পান বিক্রি করতে পারছেন না, কারণ এখন তার পানের বরজ কমেগেছে।
 
এদিকে মহেশখালী কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিরুল আলম জানান, মহেশখালীতে চার হজার একর জমিতে ২৭ হাজার ২০০ মানুষ পান চাষ করে যাচ্ছে। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় হামুনের আঘাতে বহু পান চাষি তাদের পেশা হারিয়েছে। পান চাষিদের সংখ্যা ও জমির পরিমান নিয়ে কৃষি কর্মকর্তার দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে পান চাষিরা জানান, এটা সঠিক নয় অফিসে বসে লোক মুখে শুনা তথ্য হতে পারে বলে আমাদের ধারণা। 

বড়মহেশখালী পান ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ হোসেন জানান, মহেশখালীর মিষ্টি পানের অনেক চাহিদা রয়েছে। আমরা চাহিদার ৫০% সরবরাহ দিতে পরছি না। আগের তুলনায় দ্বিগুণ দামেও চাহিদা অনুযায়ী পান পাওয়া যাচ্ছে না। সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিলে মহেশখালীর মিষ্টি পান রপ্তানি করে শতকোটি টাকার বিদেশি মুদ্রা অর্জন সম্ভব হতে পারে।

টিএইচ